রহমত নিউজ ডেস্ক 07 May, 2023 07:45 PM
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতার পর দেশের সমুদ্রসীমায় ভারত ও মিয়ানমারের দখলদারিত্ব ছিল। ১৯৭৪ সালেই বঙ্গবন্ধু সমুদ্রসীমা উদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছিলেন। তার সেই উদ্যোগের জন্য আজ আমরা সমুদ্রসীমা অর্জনে সফল হয়েছি।
আজ (৭ মে) রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু নৌ-পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত টেকসই মেরিটাইম অর্থনীতি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প প্রণয়নে শেখ মুজিবের স্বপ্ন, অবদান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী মহাযজ্ঞ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু নৌ পরিষদের সভাপতি আশরাফ ইবনে নূরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম শাহজাদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আবদুস সামাদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রিয়ার এডমিরাল মো খুরশেদ আলম প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে পানি বা সমুদ্র সম্পদ রয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করা যাবে। বঙ্গবন্ধু তার গুরুত্ব বুঝতে পেরে মেরিন সেক্টরে মনোনিবেশ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে শিপিং কর্পোরেশন নির্মাণ করেন। রাশিয়া থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এনে কাপ্তাইয়ে পুঁতে রাখা মাইন অপসারণ করেছিলেন। তার নেতৃত্বেই খুলনার শিপইয়ার্ডে ছোট জাহাজ তৈরি করা শুরু হয়। সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের কাজও তার হাত দিয়েই শুরু হয়েছিল। এছাড়া এই সেক্টরের দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালে মেরিন একাডেমি তৈরি করেন। বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মেরিন সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করছেন। মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে মেরিন একাডেমি স্থাপনের অঙ্গীকার করেছেন। তার নেতৃত্বেই মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ২০০ নটিক্যাল মাইলের বিশাল এক সমুদ্রসীমায় দেশের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।